বেগম খালেদা জিয়া কে ছিলেন?

ছবি: বেগম খালেদা জিয়া এবং তাঁর পিতা-মাতা

বেগম খালেদা জিয়া কে?
পরিচিতি: বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির চেয়ারপারসন যিনি ১৯৯১ সাল থেকে তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী এবং মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় নির্বাচিত নারী সরকার প্রধান। বেগম জিয়া ১৯৪৬ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুর জেলায় ইস্কান্দার মজুমদার ও তৈয়বা মজুমদারের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ভারতের জলপাইগুড়ি থেকে বিভক্তির পর তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে চলে আসেন। তাঁর আদি বাড়ি মূলত দেশের দক্ষিণ-পূর্ব জেলা ফেনীতে।
সংক্ষিপ্ত তথ্য:
জন্ম: ১৫ আগস্ট, ১৯৪৫, জলপাইগুড়ি, ভারত
মৃত্যু: ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫, এভারকেয়ার হসপিটাল, ঢাকা
বই: Bangladesh: Challenges and Priorities (২০০৫)
স্বামী বা স্ত্রী: জিয়াউর রহমান (বিবাহ. ১৯৬০–১৯৮১)
শিক্ষা: সুরেন্দ্রনাথ কলেজ
বাবা ও মা: ইস্কান্দার মজুমদার, তৈয়বা মজুমদার
সন্তান: তারেক রহমান, আরাফাত রহমান কোকো
ভাইবোন: খুরশীদ জাহান হক, শামীম ইসকান্দার, সেলিনা ইসলাম
আগের পদ: বাংলাদেশের সংসদ সদস্য (২০০৯–২০১৪), বাংলাদেশের সংসদ সদস্য (২০০১–২০০৬), আরও
রাজনৈতিক দল: বাংলাদেশ জাতীয়
তাবাদী দল
পড়াশোনা ও বিবাহিত জীবন: তিনি দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং পরে সুরেন্দ্রনাথ কলেজে অধ্যয়ন করেন। ১৯৬০ সালে তিনি জিয়াউর রহমানকে বিয়ে করেন।
জিয়াউর রহমান বীর উত্তম যখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন, তখন বেগম জিয়া ফার্স্ট লেডি হিসেবে তার সঙ্গী হিসেবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার এবং নেদারল্যান্ডের রানি জুলিয়ানার সাথে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
পুতুল থেকে খালেদা জিয়া নাম কিভাবে হলো?
খালেদা জিয়া বিধবা হন ৩৬ বছর বয়সে। তখন তিনি একজন সাধারণ গৃহবধূ ছিলেন। তারেক রহমান এবং আরাফাত রহমান-দুই সন্তান নিয়েই ছিল তাঁর সংসার। তার পুরো নাম ছিল খালেদা খানম। আর পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়-স্বজনের কাছে তাঁর ডাক নাম ছিল পুতুল।
জিয়াউর রহমান ১৯৬০ সালে যখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে একজন ক্যাপ্টেন ছিলেন, তখন তাদের বিয়ে হয়। তিনি বিয়ের পরই তাঁর স্বামীর নামের সাথে মিলিয়ে খালেদা জিয়া নাম নিয়েছিলেন বলে তাঁর বোন সেলিমা ইসলাম জানিয়েছেন। তবে রাজনীতিতে নামার পরই তিনি পরিচিত হন খালেদা জিয়া নামে।
বিএনপির অগ্রযাত্রা: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক দল। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কর্তৃক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠিত হয়। জিয়াউর রহমান তাঁর শাসনকে অসামরিকীকরণের অভিপ্রায়ে ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রাক্কালে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) নামে একটি দল গঠন করেন। উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুল সাত্তার ছিলেন এর আহবায়ক। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে, বিশেষ করে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দলের কর্মকান্ডে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিবেচনায় রেখে ঢাকার রমনা ময়দানে ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠনের ঘোষণা দেন। অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রথম মহাসচিব। জিয়াউর রহমান ছিলেন এর আহবায়ক।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত: ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন বেগম জিয়া। তার প্রধানমন্ত্রীত্বকালে বাংলাদেশ সংসদীয় গণতন্ত্রে পরিণত হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার মেয়াদে কিছু বড় অর্থনৈতিক পরিবর্তনের সূচনা হয়েছিল। কর্মসংস্থানের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায় এই সময় এবং শুধুমাত্র তৈরি পোশাকশিল্প খাতেই পাঁচ বছরে কর্মসংস্থানের বৃদ্ধি ছিল ২৯%। প্রায় দুই লাখ নারী এই সময় তৈরি পোশাকশিল্প খাতে যোগ দেন।
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন: তিনি জাতিসংঘে গঙ্গার পানি-বণ্টনের সমস্যা উত্থাপন করেন যাতে বাংলাদেশ গঙ্গার পানির ন্যায্য অংশ পায়। ১৯৯২ সালে তাকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানানো হলে সেখানে তিনি রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীদের সমস্যা উত্থাপন করেন এবং পরে মিয়ানমার সরকার ১৯৯০ দশকের প্রথম দিকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশের সাথে একটি চুক্তি করে।
২য় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী: ১৯৯৬ সালে বিএনপির নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর খালেদা জিয়া টানা দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হন, কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং পুনরায় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রতিশ্রুতির কারণে, তিনি এক মাসের মধ্যে পদত্যাগ করেন। যদিও বিএনপি ১৯৯৬ সালের জুনের নতুন নির্বাচনে হেরে যায়, দলটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সংসদে সবচেয়ে বড় বিরোধী দল হিসেবে ১১৬টি আসন পায় সেই নির্বাচনে।
দক্ষ নেতৃত্ব: ১৯৯৯ সালে বেগম জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ঐক্যজোটের সাথে চারদলীয় জোট গঠন করে এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করে। বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতি ও সন্ত্রাস নির্মূলের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০০১ সালের নির্বাচনে জয়ী হন। ফোর্বস ম্যাগাজিন নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে তার ভূমিকার জন্য ২০০৫ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারীদের তালিকায় তাকে ২৯ নম্বরে স্থান দেয়।
আপোষহীন নেত্রী হিসেবে পরিচিতি লাভ
খালেদা জিয়া সেই ১৯৮২ সালে যখন বিএনপির নেতৃত্বে আসেন, তখন জেনারেল এরশাদের সামরিক শাসন চলছিল। সেই শাসনের বিরুদ্ধে নয় বছরের আন্দোলনের মধ্য দিয়েই তিনি রাজনীতিতে নিজের এবং দলের অবস্থান তৈরি করেন বলে বিএনপি নেতারা মনে করেন।
বিএনপির নেতৃত্ব নেয়ার পরের বছর ১৯৮৩ সালে তিনি সাত দলীয় ঐক্যজোট গঠন করে এরশাদের শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন।
অন্যদিকে আন্দোলন করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আট দলীয় জোট এবং বামপন্থী দলগুলোর পাঁচ দলীয় জোট। ১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগের জোট এরশাদ সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল।
তবে বিএনপির জোট নির্বাচনে অংশ না নিয়ে নয় বছর রাজপথের আন্দোলনে থাকায় খালেদা জিয়া আপোষহীন নেত্রী হিসাবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। এরশাদ সরকার বিরোধী আন্দোলনে খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনবার।
বিএনপি নিয়ে গবেষণাধর্মী বইয়ের লেখক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়া বিএনপিকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন। এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সব দলের অংশ গ্রহণে নির্বাচনের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় আসে।
তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হয়ে ইতিহাস গড়েন। নির্বাচনে খালেদা জিয়া পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সবক'টি আসনেই নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই নির্বাচনের আগে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে থাকা তিন জোটের রূপরেখায় সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার ছিল।
সেই প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের পর গঠিত পঞ্চম সংসদে সংসদ নেতা হিসাবে খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা পাল্টিয়ে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার প্রবর্তনের জন্য বিল উত্থাপন করেছিলেন এবং ঐকমত্যের ভিত্তিতে তা পাস হয়।
তখন দীর্ঘ ১৬ বছর পর ফিরে আসে সংসদীয় সরকার। অলি আহমেদ বলেছেন, মিসেস জিয়ার এই অবদান মানুষের মাঝে বিএনপির অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে।
ক্ষমতা হস্তান্তর: ২০০৬ সালে, তিনি একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে, তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্বাসনে পাঠানোর একাধিক প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে দুর্নীতির তুচ্ছ এবং ভিত্তিহীন অভিযোগে সরকার তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
কর্মযজ্ঞ: ক্ষমতায় থাকাকালীন, খালেদা জিয়ার সরকার বাধ্যতামূলক বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষা, মেয়েদের জন্য দশম শ্রেণী পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষা, ছাত্রীদের জন্য একটি শিক্ষা "উপবৃত্তি" এবং শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য খাদ্য প্রবর্তন করে শিক্ষা ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি করেছিল। তার সরকার সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ২৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছর করে এবং শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ করে।
রাজনৈতিক বিজয়ে অপারাজিত
বেগম জিয়া কোনো আসনেই পরাজিত না হওয়ার অনন্য রেকর্ডের অধিকারী। তিনি ১৯৯১ থেকে ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনগুলোতে পাঁচটি পৃথক সংসদীয় আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালে, তিনি যে তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন সেখানে তিনি জয়লাভ করেছিলেন।
২০০৯ সাল থেকে, যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশকে একটি কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত করে, তখন তিনি গণতন্ত্রের জন্য তার লড়াই নতুন করে শুরু করেছিলেন। সরকার তাকে জোরপূর্বক তার বাড়ি থেকে বের করে দেয় এবং গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন শুরু করায় তাকে দুইবার গৃহবন্দী করা হয়ে। গণতন্ত্রের প্রতি তার ভূমিকার জন্য, তাকে ২০১১ সালে নিউ জার্সির স্টেট সিনেট "গণতন্ত্রের জন্য যোদ্ধা" উপাধিতে সম্মানিত করে।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট: ১৯৭৮ সালের ৩ জুনে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক ব্যর্থ অভ্যুত্থানে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হলে বিচারপতি আবদুস সাত্তার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসাবে ১৯৮১ সালের ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ১৪০টি আসন লাভের মাধ্যমে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আবির্ভূত হয় এবং সরকার গঠন করে। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ৩০০টি আসনের ১৯৩টি আসন লাভ করে পুনরায় ক্ষমতাসীন হয়। ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনের পর বিএনপির নেতা জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতার ভূমিকা পালন করেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নবম সংসদের সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ৩০০ আসনের মধ্যে ৩০টি আসনে জয়লাভ করে বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় সংসদে ভূমিকা পালন করছে।
সাজা প্রাপ্তি: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালে বেগম খালেদা জিয়াকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০২০ সালের কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিস প্রতিবেদনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় আইন বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছিল যে, মূলত নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি রাজনৈতিক চক্রান্ত হিসেবেই তাঁকে সাজা দেয়া হয়েছিল। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে তার "ন্যায্য বিচারের অধিকারকে সম্মান করা হয়নি।"
মৃত্যু: বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫) সকাল ৬টায়, রোজ: মঙ্গলবার তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫) বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা এবং এর সংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার পর তাঁকে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পাশে সমাহিত করা হবে বলে জানানো হয়েছিল।
মৃত্যুর সময় বেগম খালেদা জিয়ার শয্যাপাশে ছিলেন তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ সময় হাসপাতালে আরও উপস্থিত ছিলেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, মেয়ে জাইমা রহমান এবং খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শার্মিলী রহমান সিঁথি, খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এসকান্দার ও তার স্ত্রী, বড় বোন সেলিনা ইসলামসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।
এ ছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরা খালেদা জিয়ার মৃত্যুর সময় উপস্থিত ছিলেন।
বেগম খালেদা জিয়া ২৩ নভেম্বর, ২০২৫ থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতালটির আইসিইউতে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত জটিল এবং তিনি সংকটময় মুহূর্ত পার করছিলেন বলে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন।